শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
স্পোর্টস ডেস্ক।।
অসম্ভবকে সম্ভব করে পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বলতে গেলে তারা কাজটি সম্ভব করেছে খর্বশক্তির দল হওয়ার পরও! নবীনদের নিয়ে গড়া দলটিই স্বাগতিকদের বুঝিয়ে দিলো, মাঠের ক্রিকেটই আসল কথা।
১৪৪ বছরের টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারেননি কেউ, অভিষেকে সেটাই করে দেখিয়ে দিয়েছেন মায়ার্স। তার অপরাজিত ২১০ রানের ইনিংসে ভর করেই ৩ উইকেটের জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে স্বাগতিকদের হতবাক করে দেওয়া এই ফলকে কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক। বরং এই হার তার কাছে মনে হচ্ছে অবিশ্বাস্য!
তার ওপর ৩৯৫ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করে জেতা এই ম্যাচটা এশিয়ার মাটিতে সবচেয়ে বেশি রান চেজ করার রেকর্ড। অথচ ম্যাচের তৃতীয় দিন তাইজুল জানিয়েছিলেন, এই উইকেটে ২৫০ রানই যথেষ্ট! কিন্তু ম্যাচ হেরে মুমিনুল তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘এমন হার আসলেই অবিশ্বাস্য। কিন্তু এটাই গোল বলের খেলা। ক্রিকেটে অবিশ্বাস্য অনেক কিছুই হয়ে যায়। এমন কিছু হবে প্রত্যাশায় ছিল না। আমার কাছে মনে হয় বোলাররা ভালো জায়গায় বল করতে পারেনি। ওদের দুই ব্যাটসম্যান খুব ভালো ব্যাটিং করেছে।’
তবে অবিশ্বাস্য ম্যাচ জয়ে কাইল মায়ার্সের প্রংশসা করতে গিয়ে মুমিনুল বলেছেন, ‘অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। এখানে এভাবে ব্যাটিং করা সহজ নয়। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রায় ৪০০ তাড়া করা, নিজে ২০০ করা। অসাধারণ।’
রবিবার ম্যাচের পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনে একটি উইকেটও ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে কাইল মায়ার্স ও এনক্রুমা বোনার মিলে চাপ বাড়াতে থাকে বাংলাদেশ শিবিরে। ক্যারিবীয় দুই ব্যাটসম্যানের দেওয়া সেই চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি স্বাগতিকরা। মুমিনুল অবশ্য কখনোই মনে করেননি ম্যাচটি তারা হেরে যাবেন, ‘কোনো সময়ই আমার কাছে মনে হয়নি। গত চার দিন আমরা দাপট দেখিয়েছি। আজ শেষের দিকে ম্যাচটা হেরে গেছি। আমি চিন্তাও করিনি শেষদিকে ম্যাচটা হেরে যাবো।’
হারের সবচেয়ে বড় কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক জানালেন, ‘যখন দল হারবে তখন নির্দিষ্ট করে দোষ দিতে পারবেন না। দল হারা মানে সবাই হারা, দল জেতা মানে সবাই জেতা। আমার কাছে মনে হয় না পরাজয়ের নির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে। দল যখন হেরেছে, সবাই একসঙ্গে হেরেছি।’
শেষ দিনে উইকেট থেকে স্পিনাররা খুব বেশি টার্ন পায়নি। চট্টগ্রামের উইকেটে যেটা সচরাচর দেখা যায়, তেমন ছিল না উইকেটের আচরণ। মুমিনুল জানালেন ভিন্ন কথা, ‘উইকেটে যথেষ্ট সুযোগ ছিল। আমরা আমাদের সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। বোলাররাও ভালো জায়গায় বল করেছে। সুযোগগুলো যদি কাজে লাগাতে পারতাম। খেলাটা অন্যরকম হতে পারতো। এই দুই ব্যাটসম্যানের দুইটা সুযোগ ছিল। কাজে লাগালে মোমেন্টাম বদলে যেতো। এই উইকেটে সেট হয়ে গেলে আউট করা কঠিন।’